fbpx

কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল (coconut oil)

8001,600

To order by phone, please call

  • Instant Return in Chattogram City
  • Delivery within 2-3 Working Days.

নারিকেল তেল আমাদের অতি পরিচিত একটি বিশেষ কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান।
নারিকেল থেকে প্রাকৃতিক ভাবে এই তেল সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যকরী উপাদানের সংমিশ্রণে নারিকেল তেল তৈরি করা হয়।
রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি নারিকেল তেল আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১. মশ্চরাইজেশন
নারিকেল তেল আমাদের ত্বকে একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে।
এটি আমাদের ত্বকের জন্য একটি চমৎকার মশ্চারাইজার যা ত্বকের শুষ্কতা ও ফ্ল্যাকিনেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল ত্বককে ভেতর থেকে মশ্চারাইজ করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং আমাদের ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে।

২. চুল কন্ডিশনিং
আমাদের চুলে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারিকেল তেল একটি অন্যতম প্রাকৃতিক কন্ডিশনার যা চুলকে গভীরভাবে কন্ডিশনিং করে চুলে হাইড্রেশন প্রদান করে থাকে।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে চুল ভেতর থেকে মজবুত, প্রাণবন্ত এবং সতেজ থাকে।
এটি চুলকে হাইড্রেশন প্রদানের মাধ্যমে সতেজ ও চকচকে করে তোলে।

৩. অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরিং
প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত নারিকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরিং বৈশিষ্ট্য যা ত্বকের যেকোনো ধরনের অস্বস্তি বা প্রদাহ প্রশমিত করতে সহায়তা করে থাকে।
অনেক সময় আমাদের ত্বকে নানা ধরনের অসুবিধার কারণে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া করে এবং ত্বক লাল হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে ত্বকের লাল লাল ভাব, যেকোনো ধরনের জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ ইত্যাদি প্রশমিত হয়ে ত্বককে কোমল ও নমনীয় করে তোলে।

৪. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল
নারিকেল তেল আমাদের ত্বকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে থাকে।
নারিকেল তেলে বিদ্যমান লরিক এসিডে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যা ত্বককে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ত্বকে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

৫. মেকআপ রিমুভার
একটি প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসেবে নারিকেল তেল অন্যতম।
আমাদের ত্বকে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনি ভেতর থেকে রিমুভ বা উপশম করার জন্য অল্প পরিমাণে নারিকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারিকেল তেল কঠিন রাসায়নিক প্রসাধনীগুলোকে ভেঙে খুব গভীর থেকে মেকআপ রিমুভ করে এবং পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।

৬. রোদে পোড়া ভাব দূরীকরণ
আমাদের ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে নারিকেল তেল খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
রোদে পোড়া ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার করার ফলে এটি ত্বকের লাল লাল ভাব, অস্বস্তি ইত্যাদি উপশম করে ত্বকে শীতলতা প্রদান করে।
এটি ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূরীকরণের পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভেতর থেকে নিরাময় করতে সাহায্য করে।

৭. ন্যাচারাল লিপ বাম

নারিকেল তেল আমাদের ঠোঁটের জন্য ন্যাচারাল লিপ বাম হিসেবে কাজ করে থাকে।
নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট ফাটা, শুষ্কতা, ডিহহাইড্রেশন ইত্যাদি প্রতিরোধ করে ঠোঁটকে নরম ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
এটি নিয়মিত ব্যবহারের ঠোঁটের কালচে ভাব ও ডেড সেল বা মৃত কোষ দূর হয় এবং ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ও নমনীয়তা বজায় রাখে।

৮. অ্যান্টিএজিং
নারিকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা অ্যান্টি এজিং এর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে।
নারিকেল তেলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিকেলের প্রভাব থেকে রক্ষা করে যা বার্ধক্যের লক্ষণ গুলো হ্রাস করতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে।
ফ্রি র‍্যাডিকেলের প্রভাবে আমাদের ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ গুলো দেখা দিতে থাকে এবং
এক্ষেত্রে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে এর অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য বার্ধক্য জনিত লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করে ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তোলে।

৯. কিউটিকল কেয়ার
কিউটিকলের যত্নে নারিকেল তেল একটি অন্যতম ও কার্যকরী উপাদান।
নিয়মিত সঠিক পরিমাণে কিউটিকলে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে তা নরম, পুষ্টিকর ও প্রাণবন্ত হয়ে থাকে ; বিশেষ করে নখের ক্ষেত্রে নারিকেল তেল ব্যবহারে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
কিউটিকলের যত্নে তাই নারিকেল তেলের গুরুত্ব অতুলনীয়।

১০. রান্না ও স্বাস্থ্য উপকারীতা
রান্না করার ক্ষেত্রে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
পখাবারে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে তা কোলেস্ট্রল এর মাত্রা ও বিপাকীয় প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ও সুবিধা দিয়ে থাকে।
নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে নারিকেল তেল রান্নায় ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং স্বাস্থ্যকে উন্নত করতেও সাহায্য করে থাকে।

নারকেল তেল কেন খাবেন

আমাদের দেশে নারকেল তেল শুধু চুলেই ব্যবহার করা হয়। রান্নার কাজে তেমন ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে।
কিন্তু রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যাওয়া এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অনেক উপকারিতা পেতে পারেন।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল তেল শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল বা এইচডিএল এর মাত্রা বাড়তে সাহায্য করে।
তাই পাঠক জেনে নিন রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করলে কী ধরনের উপকারিতা পাবেন।

ওজন কমায়

অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে নারকেল তেল খেতে ভুলবেন না।
কারণ এই প্রকৃতিক উপাদনটিতে থাকা উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড পেটে এবং শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সেই সঙ্গে এই তেল শরীরের মেটাবলিক রেটকে বাড়িয়ে দেয় যা আপনার ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নারিকেল তেল বেশ উপকারী।
কারণ এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল লিপিড, ল্যারিক অ্যাসিড, ক্যাপরিক অ্যাসিড এবং ক্যাপরাইলিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে তোলে। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

গবেষণায় দেখা গেছে, হজম ক্ষমতার বৃদ্ধিতে নারকেল তেলের কোনও বিকল্প হয় না।
আসলে এই তেলটির ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়,
তেমনি বিভিন্ন ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি

দাঁতের সুরক্ষায় ক্যালকিউমিন নামক একটি উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এই উপাদানটি যাতে ঠিক মতো শরীর দ্বারা শোষিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে নারকেল তেল। এই কারণে নারকেল তেল খাওয়া শুরু করলে দাঁতের কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

নারকেলে তেলের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
সেই সঙ্গে কিডনি এবং প্যানক্রিয়াসে যাতে কোনও ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

নারকেল তেলের ১৫ উপকারিতা

নারকেল তেলে এমসিটি নামক একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা সহজেই শোষিত হয়ে দেহ, মস্তিষ্ক ও কোষের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
হঠাৎ করেই হাত পুড়ে বা কেটে গেলে সেখানে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। জ্বালাপোড়া অনেকাংশেই কমবে।

রান্নার কাজেও নারকেল তেল বেশ উপকারী।
অন্যান্য তেলের তুলনায় নারকেল তেলে অক্সিডেশনের পরিমাণ অনেক কম থাকে। যে কারণে রান্নার অন্যান্য তেলের তুলনায় নারকেল তেল বেশি স্বাস্থ্যকর।

নারকেল তেলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে একে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লোশনের বিকল্প হতে পারে নারকেল তেল।
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করা নারকেল রিংকেল দূর করতেও সহায়তা করে।

নারকেল তেলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড ও ক্যাপ্রিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা স্ট্রেপ্টোকোকাস নামক মুখের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে দাঁত ও মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমায়।

নারকেল তেল অনন্য সব খনিজ উপাদান ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। চুল ও ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে নারকেল তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।

দীর্ঘক্ষণ মেকআপ থাকার পর তা শক্ত হয়ে মুখের সঙ্গে লেগে যায়। সে মেকআপ তুলতে রিমুভারের বিকল্প হতে পারে নারকেল তেল। নারকেল তেলের ব্যবহারে সহজেই মেকআপ তুলে ফেলা সম্ভব।

নারকেল তেল হাড়ের ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রমতে নারকেল তেল হাড় ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

শীতকালে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে নারকেল তেল বেশ উপকারী। নারকেল তেলে প্রাকৃতিকভাবে এসপিএফ-৭ থাকায় সূর্যের আলো থেকেও ত্বককে কিছুটা সুরক্ষা প্রদান করে।

কাঠের আসবাবপত্র চকচকে করতে রায়াসনিক বিভিন্ন পদার্থ ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেখানে থাকা বিষাক্ত উপাদান ও গন্ধ ঘরের বাতাসকে দূষিত করে।
যার প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে নারকেল তেল। কাঠের পুরোনো আসবাব চকচকে করতে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল।

অনেকের শরীরেই ঘামের দুর্গন্ধ হয়। সেই গন্ধ দূর করতে নারকেল তেল বেশ উপকারী। নারকেল তেলে থাকা উপাদান ঘাম শুষে নেয়। ফলে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে না।

নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণ দূর করে।

বুকে জমে যাওয়া কফ দূর করতে ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন কনজেশন রিলিফ ক্রিম।
আধা কাপ নারিকেল তেল, রোজমেরি, দারুচিনি এবং ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল তেল একসাথে মিশিয়ে নিন এবং বুকে মালিশ করুন।

রাতজাগা বা দুশ্চিন্তার ফলে চোখেমুখে পড়া কালি দূর করে নারকেল তেল।
নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। বাধাদান করে।

পুরোনো বলিরেখাও দূর করতে সহায়তা করে।

কার্পেট বা ফার্নিচারে পুরোনো কোনো দাগ দূর করতে নারকেল তেল বেশ উপকারী।
বেকিং সোডার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে সামান্য ঘষলেই দূর হয়ে যাবে সব দাগ।

 

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কোল্ড প্রেস নারিকেল তেল (coconut oil)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

What’s Trending

Eat more from the Earth, not from the lab

Search